ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমণি ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ব্যক্তিজীবন নিয়েই বেশি চর্চায় থেকেছেন। এবার গায়ক শেখ সাদীর সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনে নতুন করে আলোচনায় পরী।
ঢাকাই সিনেমার নন্দিত- সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। অসামান্য রূপ লাবণ্য ও স্পষ্টবাদিতার কারণে পরী জয় করে নিয়েছেন দর্শকমন।সোশ্যাল মিডিয়ার এযুগে দেশ ছাড়িয়ে ওপার বাংলাতেও রয়েছে তার অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী। চলতি বছর তার সেই জনপ্রিয়তার জোরে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে নাম লিখিয়েছেন টলিউডেও।তবে সব ছাপিয়ে পরীমণি বরাবরই তার ব্যক্তিজীবন নিয়ে চর্চায় ছিলেন ও আছেন।
পরীমণি আলোচনায় এসেছেন কখনো তার একাধিক বৈবাহিক জীবন নিয়ে, কখনো তার উশৃঙ্খল আচরণ কিংবা অন্যের সাথে দুর্ব্যবহারের কারণে। আবার কখনো মামলা মোকদ্দমা নিয়ে সমালোচিত হয়েছেন।
স্বামী রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়েই এখন পরীর জগৎ। তবে অতীত নিয়ে না ভেবে দুই সন্তানকে নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে চান পরীমণি।দীর্ঘদিন ধরে এমনটাই বলে আসছেন পরীমণি। যদিও কিছুদিন আগেও হঠাৎ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেই প্রেমে পড়ার স্ট্যাটাস দিয়ে বেশ হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছিলেন। তবে এবার শেখ সাদীর সাথে প্রেমের গুঞ্জনে পরী কোন স্ট্যাটাস না দিলেও ফেসবুকে তাদের প্রায়ই দেখা যাচ্ছে।
প্রেম নিয়ে বহুবার সমালোচনার ও কটাক্ষের মুখোমুখি হতে হয়েছে পরীমণিকে। তাকে দেখে যেকোনো ছেলেই দ্রুত প্রেমের প্রস্তাব দেন-এমন গুঞ্জনও আছে শোবিজ পাড়ায়। তিনিও নাকি দ্রুত তাদের ভালোবাসা গ্রহণ করেন।এবারও কি তাই হতে যাচ্ছে? আজকাল তরুণ গায়ক শেখ সাদীকে প্রায়ই পরীমণির বাসায় দেখা যাচ্ছে। কখনো তিনি পরীর ছেলে পূণ্যকে নিয়ে খেলা করেন।আবার কখনও ছেলে মেয়ে দুজনের সঙ্গেই তাকে দেখা যায়। পরীর বাসায় সাদীর বাসা থেকে হরেক রকম পিঠার ডালা পাঠানোর ভিডিও সবার নজরে এসেছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে শেখ সাদী পরীর জামিনদার হবার পরে।
আরও পড়ুনঃ- অভিনেত্রী মিথিলা এবার বিচারকের দায়িত্বে
সম্প্রতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় নায়িকা পরীমণি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। পরীমণির জামিনদার হয়েছেন তরুণ গায়ক শেখ সাদী।তারপর থেকে তাদের প্রেমের গুঞ্জন ডালপালা মেলেছে।
শেখ সাদী আদালতে শুরু থেকে পরীমণির সঙ্গে ছিলেন। পরীমণির জামিনদার হওয়া প্রসঙ্গে পরীমণি কিছু না বললেও শেখ সাদী বলেন, 'পরীমণি আমার সহকর্মী। যখন তিনি গণমাধ্যমে পরীমণির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির খবর শুনলেন, তখন বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। তখন পরীমণির সঙ্গে কথা হয়। তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন, আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। এ জন্য আমিও আদালতে যায়। জামিন হওয়ার পর তার আইনজীবী একজন জামিনদার হন। আমিও জামিনদার হই।'
শেখ সাদী জানান, 'একই অঙ্গনে দীর্ঘদিন কাজ করার কারণে পরীমণির সঙ্গে বেশ আগেই পরিচয় হয়েছিল। তখন থেকেই পেশাগত বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে নিয়মিত কথাবার্তা হয়।'
শেখ সাদী যদিও তার সাথে পরীমণির এই ঘনিষ্ঠতাকে পেশাগত সম্পর্কের তকমা দিচ্ছেন, আর পরীমণি নিশ্চুপ রয়েছেন, তবে সময়ই বলে দিবে তাদের এই সম্পর্ক কতটুকু গভীর।
ডেস্ক রিপোর্টার
সর্বাধিক পঠিত
Loading...