শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাসেবা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু আজ সকালে অবস্থার অবনতি হলে ফের হাসপাতালে নিলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মেয়ে সংগীতশিল্পী দিঠি আনোয়ার।
ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য সাড়ে তিন মাস সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বছরের ৩১ মে বাংলাদেশে ফিরেছেন গুণী এই শিল্পী।এরপর দীর্ঘ এক বছর পরে গত ৩১ জানুয়ারি মঞ্চে ফিরেছিলেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন।শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এইচএসবিসি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘আমাদের সাবিনা ইয়াসমিন: আমি আছি থাকব’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
পরে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে শিল্পী সুস্থবোধ করলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। রাতেই তিনি বাসায় ফিরে আসেন। কিন্তু শনিবার সকালে আবারও অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
এদিকে, পপুলার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানকার চিকিৎসকরা ইনসেটিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন।
এর আগে গতকাল অসুস্থ হওয়ার বিষয়ে সংগীতশিল্পী জাহাঙ্গীর সাইদ জানিয়েছিলেন, ‘সাবিনা ইয়াসমিনের ভার্টিগো সমস্যা আছে। মঞ্চে গান গাইতে গাইতে ভার্টিগোর সমস্যায় পড়েন। মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড হাত ধরে রাখতে পারছিলেন না। এরপর তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়।’
আরও পড়ুনঃ- ফের নতুন সিনেমায় জুটিবদ্ধ হলেন সালমান - রাশমিকা
২০২৩ সালের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, মেলবোর্ন ও ব্রিসবেনে একাধিক স্টেজ শো করেন সাবিনা ইয়াসমিন। এরপর আর তাকে মঞ্চের গান পরিবেশনায় পাওয়া যায়নি। এ সময় চিকিৎসাতেও ছিলেন সাবিনা।
প্রসঙ্গত, সাবিনা ইয়াসমিন দেশের একজন স্বনামধন্য ও গুণী সংগীতশিল্পী। ১৯৫৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় এই কিংবদন্তি শিল্পীর। সাবিনা ইয়াসমিন চলচ্চিত্রের গানের পাশাপাশি দেশাত্মবোধক গান থেকে শুরু করে উচ্চাঙ্গ, ধ্রুপদী, লোকসঙ্গীত ও আধুনিক বাংলা গানসহ বিভিন্ন ধারার নানান আঙ্গিকের সুরে গান গেয়ে নিজেকে দেশের অন্যতম সেরা সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি ১৪টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ৬টি বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেছেন। শিল্পকলার সঙ্গীত শাখায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৮৪ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা "একুশে পদক" এবং ১৯৯৬ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা "স্বাধীনতা পুরস্কার"-এ ভূষিত করে।
ডেস্ক রিপোর্টার
সর্বাধিক পঠিত
Loading...