হঠাৎ করেই শোবিজ তারকারা একই ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছেন।তারকাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উদ্বোধনের রীতি এদেশে চালু থাকলেও সাম্প্রতিককালে মেহজাবীন, পরীমণি ও অপু বিশ্বাস একাজে বাধাপ্রাপ্ত হন।
শোবিজের শিল্পীরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে প্রায়ই নানা পণ্যের শোরুম উদ্বোধন করে থাকেন। তবে হঠাৎ করেই তাদের এই কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে দেশের নারী তারকাদের। প্রথমে চট্টগ্রামে মেহজাবীন চৌধুরী, পরে টাঙ্গাইলে পরীমণি, এরপর রাজধানীতে স্থানীয় মুসল্লিদের তোপের মুখে উদ্বোধন অনুষ্ঠান বাতিল করতে হয়েছে অপু বিশ্বাসকে।সম্প্রতি, এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের টিভি নাটকের অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ।
এ বিষয়কে কেন্দ্র করে অভিনয়শিল্পী সংঘ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় বার্ষিক সাধারণ সভায় সদস্যদের সম্মতিক্রমে একটি বিবৃতি প্রদান করে। এতে স্বাক্ষর করেছেন সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান।
সংগঠনের সেই লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "অভিনয় শিল্পী সংঘের তৃতীয় বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২৫ এ উপস্থিত সব সদস্য বর্তমান কিছু পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত। নানা কারণে তারা তাদের স্বাধীনতা হারাচ্ছে। পেশা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"
অভিনয়শিল্পীদের পক্ষে সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, "আমরা লক্ষ করেছি, নারী অভিনয়শিল্পীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে বাধা দেয়া হয়েছে।
আমরা অবগত হয়েছি, কয়েক স্থানে শুটিং করার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এ সবই আমাদের স্বাধীন পেশা হিসেবে কর্ম পরিচালনায় শঙ্কা তৈরি করছে।এছাড়াও কোনো কোনো অভিনয়শিল্পীকে সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই বিদেশ গমনে বাধা দেয়া হচ্ছে।"
ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, "যদি কোনো অভিনয়শিল্পী কোনো রকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকেন তবে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে তার বিচার হবে। কিন্তু অহেতুক হয়রানি বন্ধ করা না গেলে ভয়, শঙ্কাহীন ও স্বাধীনভাবে শিল্প সংস্কৃতির চর্চা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।"
আরও পড়ুনঃ- আসছে নাসির-মিথিলার ‘মাইসেলফ অ্যালেন স্বপন’ এর সিক্যুয়েল
শঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে," এতে দেশীয় শিল্প সংস্কৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ভিনদেশি ও অপসংস্কৃতির বিস্তার ঘটার আশঙ্কা তৈরি হবে। আমরা এ বিষয়ে সরকার ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং আশু সমাধান আশা করছি।"
বিবৃতির সবশেষে দেশের স্বার্থে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আগামী দিনের বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও সংস্কৃতি বান্ধব বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার আশা প্রকাশ করেন তারা।
ডেস্ক রিপোর্টার
সর্বাধিক পঠিত
Loading...