ইমো, একটি জনপ্রিয় অডিও-ভিডিও কলিং এবং ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ। সম্প্রতি তারা কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের কারণে ৬ লাখ ২৮ হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ প্রকল্পটি পরিচালনা করা হয়েছে। সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইমোর প্রধান লক্ষ্য হলো স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা এবং অন্তর্ভুক্তি বজায় রাখা, এবং এটি নিশ্চিত করতেই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে ইমো বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ব্যবহারকারীদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে চায়। অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস মাসে ইমো তাদের ব্যবহারকারীদের জন্য প্ল্যাটফর্মটিকে নিরাপদ করার প্রচেষ্টা সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করে। তারা জানায়, একটি নিরাপদ ও বন্ধুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার জন্য এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ইমো কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মে পাবলিক কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিকভাবে যাচাই করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর ব্যবহার করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তি তাদেরকে সপ্তাহের ৭ দিন, ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে সক্ষম করে। এছাড়া, প্ল্যাটফর্মে যারা ক্ষতিকর বিষয়বস্তু দেখেন, তাদের এটি রিপোর্ট করতে ইমো উৎসাহ দেয়। ফলে, ব্যবহারকারীদের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রায় ৯০ হাজার ক্ষতিকর কেস চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে।
একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইমো একটি বিশেষ কমিউনিটি গাইডলাইন তৈরি করেছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য আরও সুরক্ষিত এবং নির্ভরযোগ্য যোগাযোগের সুযোগ প্রদান করবে। ইমো এ গাইডলাইন বাস্তবায়নের পাশাপাশি প্ল্যাটফর্মে নতুন নতুন ফিচার যোগ করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে, যা অ্যাপ্লিকেশনটির ধারাবাহিক আপডেটের মাধ্যমে উন্নয়নশীল রাখতে সাহায্য করছে।
আরও পড়ুনঃ- ইন্দোনেশিয়ায় আইফোন ১৬ ব্যবহার করলেই যেতে হবে জেলে!
সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস মাস উপলক্ষে ইমো মানুষকে ইন্টারনেট ব্যবহারে আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তারা নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন, টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন, পাসকিজ, সিম কার্ড বাইন্ডিং, ব্লক স্ক্রিনশট এবং প্রাইভেসি চ্যাট অ্যান্ড প্রাইভেসি মোডের মতো বিভিন্ন ফিচার চালু করেছে। ইমোর মতে, এই উদ্যোগগুলো ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সাইবার অপরাধ এবং সাইবার বুলিং প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখবে।
ডেস্ক রিপোর্টার
সর্বাধিক পঠিত
Loading...