প্লেনে ভ্রমণের সময় প্রায়শই স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ ‘ফ্লাইট মোড’-এ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কেন এই নিয়ম মানতে বলা হয়, তা অনেকের কাছেই অস্পষ্ট।
ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (FCC)-এর মতে, মোবাইল ফোন কিংবা অন্যান্য ডিভাইসের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি প্লেনের গুরুত্বপূর্ণ নেভিগেশন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে। বিশেষত, প্লেন যখন উড্ডয়ন করে বা অবতরণ করে, তখন এই সমস্যার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। এই কারণেই ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়।
ফ্লাইট মোড চালু করলে ফোন বা ল্যাপটপের ডেটা ট্রান্সমিট ও রিসিভের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, এই মোডে থাকা অবস্থায় ডিভাইস কোনো ডেটা পাঠাতে বা গ্রহণ করতে পারে না। এর ফলে কল করা, মেসেজ পাঠানো কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহার সম্ভব হয় না। তবে আপনি চাইলে ডিভাইসটি অফলাইন মোডে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করতে বা গান শুনতে পারবেন।
যদিও আধুনিক প্লেনের প্রযুক্তি আগের তুলনায় অনেক উন্নত, তবুও সুরক্ষার জন্য এই নিয়ম মানা অত্যন্ত জরুরি। কারণ ছোট কোনো ভুল বোঝাপড়াও বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তাই যাত্রীরা যেন নিজেদের ডিভাইস সঠিকভাবে ফ্লাইট মোডে রাখেন, এটি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুনঃ- মেসেঞ্জারে আসছে আধুনিক ফিচার, যোগাযোগ হবে আরও সহজ
ফ্লাইট মোড শুধু প্লেন ভ্রমণের জন্যই নয়, ব্যাটারি সাশ্রয় করতেও এটি বেশ কার্যকর। কারণ মোডটি চালু করলে ডিভাইস ক্রমাগত সিগন্যাল খুঁজতে থাকে না, ফলে ব্যাটারি খরচ অনেকটাই কমে যায়। তাই প্লেনে বা যেকোনো স্থানে ডিভাইস ব্যবহার না করার সময় এই মোডটি ব্যবহার করার অভ্যাস তৈরি করা উচিত।
ডেস্ক রিপোর্টার
সর্বাধিক পঠিত
Loading...